বাংলাদেশ জাতীয় গীতা স্কুল

বাংলাদেশ জাতীয় গীতা স্কুল সনাতন ধর্মীয় শিক্ষার প্রসারে নিবেদিত একটি প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ জাতীয় গীতা স্কুল দেশের বিভিন্ন স্থানে গীতা স্কুল প্রতিষ্ঠা করে শিশু ও কিশোরদের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান বিতরণে কাজ করছে।

উদাহরণস্বরূপ,
বাংলাদেশ জাতীয় গীতা স্কুল বাংলাদেশের ৬৪ জেলার ৩২ টি জেলায় বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়নে মন্দির ভিক্তিক গীতা স্কুল সনাতন ধর্মের শিক্ষার্থীদের মাঝে ধর্মীয় জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে। এই স্কুলে বাংলাদেশের মোট ৭০০০ জন শিক্ষার্থীকে ১০০ জন শিক্ষক/শিক্ষিকা ও ২১ জন সদস্য বিশিষ্ট পরিচালক দ্বারা শিক্ষা প্রদান করা হয়।

এই ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয় গীতা স্কুল সনাতন ধর্মীয় শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:

বাংলাদেশ জাতীয় গীতা স্কুলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সাধারণত হিন্দু ধর্মীয় শিক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধের প্রচার ও প্রসারের উপর ভিত্তি করে থাকে। এর মূল উদ্দেশ্যগুলো হলো-

গীতার শিক্ষা প্রদান: হিন্দুধর্মের পবিত্র গ্রন্থ “শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা”র মর্মার্থ ও দর্শন ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া।

নৈতিক মূল্যবোধের বিকাশ: গীতার নীতিশিক্ষা ও দর্শনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নৈতিকতা, আদর্শ, এবং চারিত্রিক গুণাবলির উন্নয়ন।

ধর্মীয় চেতনার জাগরণ: ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ধর্মীয় চেতনা জাগিয়ে তোলা এবং তাদের জীবনে ধর্মীয় শিক্ষা বাস্তবায়নে সহায়তা করা।

সামাজিক সংহতির প্রচার: গীতার শিক্ষার মাধ্যমে শান্তি, সাম্য, এবং সামাজিক সংহতির গুরুত্ব তুলে ধরা।

সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ: হিন্দু সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষা এবং নতুন প্রজন্মের মধ্যে তা বিস্তার করা।

আধ্যাত্মিক উন্নয়ন: ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে আধ্যাত্মিকতা প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করা।

এই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয় গীতা স্কুল ধর্মীয় শিক্ষা এবং সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখতে কাজ করে